আজ আবার মহালয়া। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ভোরবেলা থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, কখনো টিপটিপ, কখনো ঝিরঝির। তিন-চার দিন ধরে এই চলছে, তাই হাওয়াটা বেশ ঠান্ডা, জলটা কনকনে - এরকম মহালয়া আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে পুজোর দিনেও বৃষ্টি হবে। নতুন খবর নয় অবশ্য; গত কয়েক বছর ধরে এরকমটাই হচ্ছে। হোক, আমার আপত্তি নেই - রাস্তায় কিছুটা হলেও মানুষের বাঁদরামি কমবে, আর তাছাড়া আমি তো এখানে থাকছিও না! শীতকালটা যদি একটু তাড়াতাড়ি আসে তাতেই আমি খুশি। এবারে গ্রীষ্ম শুধু পাগল করে দিতে বাকি রেখেছিলো।
এই দিনে আমি জন্মেছিলাম। ছাপ্পান্ন বছর হয়ে গেলো! মা বলছিলো সেবছর নাকি দুবার দুর্গাপুজো হয়েছিল। খুবই আশ্চর্য ব্যাপার হয়ে থাকবে - আমার জীবনকালে আর একবারও দেখিনি।
বাবা চলে গেলো তাও দুবছর হল। কোথায় আছে কেমন আছে কে জানে। আমি তো লোকদেখানো আচার-অনুষ্ঠান করি না, তা এই আমার তর্পণ। আমার মেয়েও আমার জন্য ফি-বছর এইটুকু করলেই হবে।
বহু ছবি স্মৃতির পর্দায় সরে সরে যায়। তবে অনেক ছবিই ঝাপসা, অনেক ছবি ময়লা, কদর্য। সেসব যদি মুছে ফেলতে পারতাম তাহলে আজকের এই অনেক পরিশ্রম, অনেক ধৈর্য, অনেক প্রার্থনালব্ধ আত্মপ্রসাদটা আরো নিষ্কলুষ হতো - সেটুকুই যা আক্ষেপ। তা নাহলে বলতেই হয়, বেশ আছি।
1 comment:
Sir
What a good read it was! Thank you for writing in Bengali... it was indeed a fresh feeling.
It drizzled all through Mahalaya here at kolkata too which indeed limited the 'বাঁদরামি' to some extent.
There is so much rain here that the possibility of OLA boats are taken into serious consideration!
Also, there are predictions that the winters will keep getting more mediocre... no more will the chilly bone freezing days come to cities like ours! Sad.
Nonetheless waiting eagerly for the winters and more posts.
শারদীয়ার শুভেচ্ছা।
Samriddha.
Post a Comment