Explore this blog by clicking on the labels listed along the right-hand sidebar. There are lots of interesting stuff which you won't find on the home page
Seriously curious about me? Click on ' What sort of person am I?'

Sunday, June 17, 2018

Words from the dimly remembered past

মানুষ আজও ছাই এত লেখে কেন? কোন অদ্ভুত নেশার টানে, কি উদ্দাম অভিপ্রায়ের বশে এই অন্তহীন অপকর্ম চলতেই থাকে? মানুষের মনের মধ্যে যত বোধ, অনুভূতি, যত আশা আকাঙ্ক্ষা সুখ-দুঃখ ভয়-ভীতির পাকচক্র, এসবের সমুদ্রমন্থন তো বাস্তবিক সেই কবে শেষ হয়ে গেছে! যদি শুধু প্রকাশভঙ্গির প্রকারভেদই সাহিত্যকে চালনা করত, তবেও তো একথা মানতেই হয় যে বিগত দুই-তিন সহস্র বছরে সংখ্যাহীন রথী-মহারথীরা মিলে নান্দনিক চরমোৎকর্ষের সকল নিদর্শন সৃষ্টি করে রেখেই গেছেন: আজকের মানুষ তো কেবল পাঠক হওয়ার যোগ্যতাই রাখে, গ্রন্থাগারে গিয়ে দান্তে কি শেক্সপীয়ার, কালিদাস কি রবীন্দ্রনাথের পাতা ওল্টালেই হয়, নতুন কথা বলবার, চিরপুরাতন কথা নতুন করে বলবার আর বাকি আছে কি? - আরেক ধরণের লেখা অবশ্য হয়, রাজনীতি-অর্থনীতি-বিজ্ঞান-দর্শন-সমাজতত্ত্বের জগতে "যুগান্তকারী" যেসব লেখা, যেমনটা এককালে অ্যারিস্টট্ল-নিউটন-ডারউইন-মার্কস-ফ্রয়েডদের মতো সাহেবসুবোরা লিখে পৃথিবী কাঁপিয়ে থাকতেন। এই বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে দাঁড়িয়ে যেন দেখি, তেমন তেমন লেখা আজ বহুদিন আর বিশেষ লেখাও হয়না। অথবা হয়তো ছাপাশব্দের অধুনাকালীন বাঁধভাঙা বন্যায়, অত্যুচ্চ প্রযুক্তির জগতে দৈনন্দিন বৈপ্লবিক পরিবর্তনের যুগে বুঝি বা মনুষ্যজাতি সেভাবে কোনো লেখা বা লেখকের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ক্ষমতাটাই হারিয়ে ফেলেছে!

সে যাই হোক, যাদের সেরকম লেখা লেখবার ক্ষমতা বা প্রবৃত্তি কোনটাই নেই, তারা আজও লিখতে চেয়ে, লিখতে যায় কোন সাহসে? থাক, পরের কথা তুলে কাজ নেই, এক্ষুনি বিশ্বের অর্ধেক মহাবোদ্ধা শিঙ নেড়ে তেড়ে আসবেন এমনতরো আকাটের জ্ঞানচক্ষু অনতিবিলম্বে উন্মিলিত করে দেওয়ার সদুদ্দেশ্য নিয়ে; শৈল্পিক সৃষ্টিতত্ত্বের শতশত ভিন্ন ভিন্ন দুরূহ ব্যাখ্যার তোড়ে বেচারা একেবারে ভেসে যাবে। বিশ্বের তাবড় সাহিত্যিক নিজ নিজ আদর্শ-দায়িত্ব- উদ্দেশ্য বুঝে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন, আমি এ-প্রশ্নটা শুধু নিজেকেই করি। 

আমি কেন লিখব? কোন দুর্লভ জ্ঞান আমার আছে, এমন কোন শিল্পবোধ আমার হয়েছে, জগতের কাছে যেনতেনপ্রকারেন আত্মপ্রকাশ করার জন্যেই বা প্রাণটা আজ আমার এমন কি আকুল হয়ে উঠল যে না লিখলে আর চলে না? কি জানি। আজ থেকে অনে-ক  দিন আগে একটা বিশেষ বয়সে আমারও একদা মনে হয়েছিল বৈকি...

কত কথা আছে, কত গান আছে, কত প্রাণ আছে মোর 
কত সুখ আছে, কত সাধ আছে, প্রাণ হয়ে আছে ভোর। 

আজ আর তার কী-ই  বা বাকি রইল? এখনো কি সত্যি আমার অনেক কথা বলার আছে, না তা লেখায় ধরে রাখার তেমন আগ্রহ রয়েছে মনের ভিতর? যদি বা তাও থাকে, সে লেখা লেখবার ভীষণ দরকার কি আছে আজও? কে বলে দেবে আমায়? 

তবু লিখব; লিখতে লিখতেই হয়তো সে প্রাণ, সে সাধ, সে গানের পুরোনো রেশ, পিছনে ফেলে আসা আবেশের খানিকটা ফিরে আসবে, তখন আবার নতুন উদ্যম, নতুন উদ্দেশ্য নিয়ে হাল ধরা যাবে। ততদিন পর্যন্ত আমার এই মাঝিহারা শব্দের নৌকা অস্ফুট অসংহত লক্ষ অনুভূতির এলোমেলো হাওয়ার ঠেলায় উত্তাল চিন্তানদী বেয়ে ভেসে চলুক।

I wrote the above essaylet back in mid-1989. Imagine! How much I have written since then, including My Master's Word, the essay on women, the Tagore translations, the five-hundred odd posts on this blog so far over the last twelve years, and over and above everything else, To My Daughter!

1 comment:

Tanmoy said...

Dear Suvroda

I have not read much of your Bangla writings. You should post more and perhaps categorise them as Bangla.

Thank you for sharing such a beautiful writing.

Regards
Tanmoy